এইস Ace
টাইমস বাংলা নিউজ ২৪.কম স্বাস্থ্য ডেস্কঃ এইস Ace এটি হলো স্কয়ার ফার্মাসিউ টিক্যালস কোম্পানির একটি ঔষধ। এইস প্যারাসিটামল গ্রুপের একটি ঔষধ। এটা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন নামে হতে পারে,যেমন-এইস,নাপা ইত্যাদি। আজকে আমরা এইস Ace (প্যারাসিটামল) ঔষধ নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এইস ঔষধ পরিচিতিঃ
ঔষধটি সিরাপ ও ট্যাবলেট দুই ভাবেই বাজারে পাওয়া যায়।
এইস (প্যারাসিটামল) এর ব্যবহার বা নির্দেশনাঃ
শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক সকলেই এইস সেবন করতে পারবে। এইস সিরাপ ও ট্যাবলেট দুই ভাবেই বাজারে পাওয়া যায়। আপনার শিশুর জ্বর আসলে এইস সিরাপ খাওয়াতে পারেন। শিশুকে টিকা দেওয়া হলে সাধারণত শিশুদের জ্বর আসায় এইস সিরাপ ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করাতে পারেন।
জ্বর,সর্দিজ্বর এবং ইনফ্লুয়েঞ্জ,মাথাব্যথা,দাঁত ব্যথা,কানের ব্যথা,শরীর ব্যথা,স্নায়ু প্রদাহ জনিত ব্যথা,ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা এবং মচকে যাওয়ার ব্যথা। অন্ত্রে ব্যথা,কোমরে ব্যথা,অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, প্রসব-পরবর্তী ব্যথা, ক্যান্সার জনিত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, প্রদাহ জনিত ব্যথা ও শিশুদের টিকা দেবার পরের জ্বর ও ব্যথা। বাত ও অষ্টিও আর্থ্রাইটিস এর দরুণ সৃষ্ট ব্যথা ও অস্থিসংযোগ সমূহের অনমনীয়তা এটি কার্যকরী।
উপাদান :
মাত্রা ও সেবনবিধি:
এইস Ace ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম:
প্রাপ্ত বয়স্ক: ১-২ টি ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট।
শিশু: (৬-১২ বছর): আধা থেকে ১টি দিনে ৩-৪ বার।
এইস সিরাপ এবং সাসপেনশন খাওয়ার নিয়ম:
শিশু: (৩ মাসের নীচে):১০ মি.গ্রা. হিসাবে (জন্ডিস থাকলে ৫ মি.গ্রা. হিসাবে) দিনে ৩-৪ বার।
৩ মাস-১ বছরের নীচে: ১/২ থেকে ১ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
১-৫ বছর: ১-২ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
৬-১২ বছর: ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
প্রাপ্তবয়স্ক: ৪-৮ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
এক্স আর ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম:
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে:২টি ট্যাবলেট প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর সর্বোচ্চ মাত্রা দৈনিক ৪ গ্রাম (৬ টি ট্যাবলেট)।
দীর্ঘ মেয়াদী ক্রমাগত চিকিৎসার ক্ষেত্রে:দিনে ২.৬ গ্রাম (৪টি ট্যাবলেট)-এর বেশি সেবন করা উচিত নয়।
সাপোজিটরি:
৩ মাস-১বছরের নীচে: ৬০-১২০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।।
১-৫ বছর: ১২৫-২৫০ মি.গ্রা, দিনে ৪ বার।
৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য: ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।
প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশী বয়সের শিশুদের জন্য: ০.৫-১ গ্রাম দিনে ৪ বার।
পেডিয়াট্রিক ড্রপস:
৩ মাস বয়স পর্যন্ত: ০.৫ মি.লি. (৪০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।
৪-১১ মাস বয়স পর্যন্ত: ১মি.লি. (৮০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।
১-২ বছর বয়স পর্যন্ত: ১.৫ মি.লি. (১২০ মি.গ্রা.). দিনে ৪ বার।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
প্যারাসিটামল বা এটির কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতির্নিদেশিত।
এইস Ace - এর গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করা নিরাপদ। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে কোন ক্ষতিকর প্রভাবের প্রমান পাওয়া যায়নি।
এইস Ace-এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে হিমাটোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া,অগ্নাশয়ের প্রদাহ,চামড়ায় ফুসকুড়ি ও অন্যান্য এলার্জি দেখা দিতে পারে।
সরবরাহ :
এইস ট্যাবলেট : ৫০ x ১০ টি।
এইস এক্স আর ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি।
এইস সিরাপ : ৬০ মি.লি. এবং ১০০ মি.লি.।
এইস সাসপেনশন : ৬০ মি.লি.।
এইস পেডিয়াট্রিক ড্রপ : ১৫ মি.লি ও ৩০ মি.লি।
এইস ৬০ সাপোজিটরি : ২ x ৫ টি।
এইস ১২৫ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।
এইস ২৫০ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।
এইস ৫০০ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।
চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন।