টাইমস বাংলা নিউজ ২৪.কম স্বাস্থ্য ডেস্কঃ ফ্লাকোল এটি হলো স্কয়ার ফার্মাসিউ টিক্যালসের একটি পাকস্থলীর বায়ুরোধী ঔষুধ। ফ্লাকোল সিমেথিকন গ্রুপের একটি ঔষধ। এটা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন নামে হতে পারে। আজকে আমরা ফ্লাকোল বা সিমেথিকন ঔষধ নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ফ্লাকোল ঔষধ পরিচিতিঃ এ ঔষধটি সিরাপ ও ট্যাবলেট দুই ভাবেই বাজারে পাওয়া যায়।
ফ্লাকোল ( সিমেথিকন ) এর ব্যবহার বা নির্দেশনাঃ
পেট ফাঁপা,অন্ত্রের ফোলাভাব,পেটভার,অতিরিক্ত গ্যাস এবং এর ফলে সৃষ্ট ব্যথা এবং বৃহদান্ত্রের জন্য প্রস্তুত মিশ্রণ হিসাবে নির্দেশিত। বিশেষ করে বায়ুরোধী হিসাবে এর চমৎকার কার্যকারিতা রয়েছে। এটা পরিপাকতন্ত্রে তৈরি হওয়া গ্যাসের ফলে সৃষ্ট ব্যথার উপশমে ব্যবহৃত হয়। ফ্লাকোল পেডিয়াট্রিক ড্রপস বিশেষভাবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধিঃ খাদ্য গ্রহণের পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে সেব্য। খাওয়ার পূর্বে বোতল ভাল করে ঝাকিয়ে নিন।
২ বছরের কম বয়সী শিশু ২০ মি.গ্রা. (০.৩ মি.লি.সিমেথিকন পেডিয়াট্রিক ড্রপস) দিনে ৪ বার।
২ - ১২ বছরের শিশু ৪০মি.গ্রা.(০.৬ মি.লি.সিমেথিকন পেডিয়াট্রিক ড্রপস) দিনে ৪ বার।
পূর্ণবয়স্ক : ৪০-১২৫ মি.গ্রা. (০.৬ - ১.৯ মি.লি. সিমেথিকন পেডিয়াট্রিক ড্রপস) দিনে ৪ বার। সর্বোচ্চ দৈনিক সেবন মাত্রা ৫০০মিগ্রা (৭.৫ মিলি সিমেথিকন পেডিয়াট্রিক ড্রপস )
অথবা ১-৩টি সিমেথিকন চুষে খাবার ট্যাবলেট দিনে ৪ বার,সর্বোচ্চ দৈনিক সেবন মাত্রা ৫০০মিগ্রা (১২ টি সিমেথিকন চুষে খাবার ট্যাবলেট )
ফার্মাকোলজিঃ ফ্লাকোল (সিমেথিকন) একটি পাকস্থলীর বায়ুরোধী ওষুধ। ফ্লাকোল পাকস্থলীর অভ্যন্তরে বায়ু বা গ্যাস তৈরির ফলে সৃষ্ট লক্ষণসমূহ; পাকস্থলী উপরের অংশের ফাঁপাবোধ,চাপ,পেটভার বোধ এবং খাদ্য দ্বারা পাকস্থলীর বদ্ধতাভাব ইত্যাদি উপশম করে। ফ্লাকোল এন্ট্রিফোর্ম কার্যকারিতার জন্য ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফ্লাকোল পাকস্থলী এবং অন্ত্রের ভিতর মিউকাস দ্বারা আবৃত আবদ্ধ বায়ু প্রকোষ্ঠের সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং এগুলো চারিদিকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। এভাবে ফ্লাকোল পাকস্থলী অভ্যন্তরে বায়ু সৃষ্টিতে বাঁধা দেয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন।
ফ্লাকোল (সিমেথিকন) ঔষধের মিথস্ক্রিয়াঃ
সিমেথিকন অন্য ওষুধের ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, এমন প্রমান পাওয়া যায়নি।
ফ্লাকোল (সিমেথিকন) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
সিমেথিকন শারীরিকভাবে (ফিজিওলজিক্যালি) নিষ্ক্রিয় উপাদান এবং খাওয়ার পরে এর কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালেঃ
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে কোন ক্ষতিকর প্রভাবের প্রমান পাওয়া যায়নি। স্তন্যদানকারী বা মাতৃদুগ্ধে সিমেথিকনের নিঃসরণের প্রমান পাওয়া যায়নি।সতর্কতাঃ ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।দৈনিক ১২ ডোজের অধিক দেওয়া যাবে না।সংরক্ষণঃ আলো থেকে দূরে,শুষ্ক ও ঠাণ্ডা জায়গায় রাখুন।
সরবরাহ: ফ্লাকোল পেডিয়াট্রিক ড্রপস : প্রতিটি বোতলে আছে ১৫ মি.লি. ড্রপ্স্ প্লাস্টিক ড্রপার সহ।