ডেঙ্গু জ্বর হলে করনীয় ও বর্জনীয়

ডেঙ্গু,ডেঙ্গু জ্বর,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি,ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি,ডেঙ্গু হলে কী করবেন, ডেঙ্গু হলে কি করা যাবেনা, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন,Dengue Fever,ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য,ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন , ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন না, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়,ডেঙ্গু এর সাধারণ লক্ষণ কি কি,ডেঙ্গু জ্বর হলে কী করবেন ,ডেঙ্গু জ্বর হলে কি হয়, ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি,ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের নাম কি?ডেঙ্গুর লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা , ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ,ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির উপায়,ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ,ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা,ডেঙ্গু রোগীর খাবার ,

টাইমস বাংলা নিউজ ২৪.কম স্বাস্থ্য ডেস্কঃ-বর্তমান সময়ে সারা দেশব্যপী ডেঙ্গু জ্বরের ধুম পড়েছে। এটা সাধারণত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু মশা বাহিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত,সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। এরপর আর তেমন দেখা যায়না। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আজকে আমরা আপনাদের সাথে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেগুলো হলো-

১। ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়।

২। ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি।

৩। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের নাম কি।

৪। এডিস মশা কখন কামড়ায়

৫। ডেঙ্গু হলে কি করা যাবে।

৬। ডেঙ্গু হলে কি করা যাবেনা।

৭। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া যাবে।

৮। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া যাবে না।

৯। ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে।

১০। ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ।

১১। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা।

ডেঙ্গু,ডেঙ্গু জ্বর,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি,ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি,ডেঙ্গু হলে কী করবেন, ডেঙ্গু হলে কি করা যাবেনা, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন,Dengue Fever,ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য,ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন , ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন না, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়,ডেঙ্গু এর সাধারণ লক্ষণ কি কি,ডেঙ্গু জ্বর হলে কী করবেন ,ডেঙ্গু জ্বর হলে কি হয়, ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি,ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের নাম কি?ডেঙ্গুর লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা , ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ,ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির উপায়,ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ,ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা,ডেঙ্গু রোগীর খাবার ,

ডেঙ্গু জ্বর:-এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

ডেঙ্গু জ্বরের কারন

১। ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়:- ডেঙ্গু জ্বর ভাইরাস সংক্রামিত একটি রোগ যা এইডিস প্রজাতির (Aedes aegypti বা Aedes albopictus) মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক।এই মশা জিকা,চিকুনগুনিয়া এবং অন্যান্য ভাইরাসও ছড়ায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চার ধরনের সেরোটাইপ আছে।

কোন ব্যক্তি যে ভাইরাস দ্বারা প্রথমে আক্রান্ত হয়,সেই ভাইরাসের বিরূদ্ধে তার দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরী হয়। এজন্য কোন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় চার বারের মতো ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু হলে তা মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে,সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।

এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্য জনে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। তাই আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে আগে মশার হাত থেকে বেঁচে থাকুন।

২। ডেঙ্গুর লক্ষণ:-ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর,মাথাব্যথা, বমি,পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গায়ের চামড়ায় লালচে রংয়ের ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। জ্বর ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে,আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা,মাথাব্যথা,চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।

৩।ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের নাম:-ডেঙ্গু ভাইরাস ইংরেজিতে যাকে (Dengue virus) (DENV) হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভি ভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ (RNA) ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গিয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই পূর্ণরূপে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। এডিস ইজিপ্টি মশা এই ভাইরাসের বাহক। একই মশা ইয়েলো ফিভার ভাইরাস,জিকা ভাইরাস,চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক।

৪। এডিস মশা কখন কামড়ায়:-ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে উঠে। তবে অন্ধকারাছন্ন পরিবেশে দিনের যে কোন সময় কামড়াতে পারে।

৫। ডেঙ্গু হলে কি করতে হবে:- ডেঙ্গু জ্বর হলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং বেশি করে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। প্রায়শ রোগীর শিরায় স্যালাইন দিতে হতে পারে। মারাত্মক রূপ ধারণ করলে রোগীকে রক্তও দিতে হতে পারে।

৬। ডেঙ্গু হলে কি করা যাবেনা:-ডেঙ্গু জ্বর হলে কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও ননস্টেরয়েডাল প্রদাহপ্রশমী ওষুধ সেবন করা যাবে না,করলে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর ডেঙ্গু হলে কঠোর পরিশ্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডেঙ্গু,ডেঙ্গু জ্বর,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি,ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি,ডেঙ্গু হলে কী করবেন, ডেঙ্গু হলে কি করা যাবেনা, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন,Dengue Fever,ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য,ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন , ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন না, ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়,ডেঙ্গু এর সাধারণ লক্ষণ কি কি,ডেঙ্গু জ্বর হলে কী করবেন ,ডেঙ্গু জ্বর হলে কি হয়, ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো কি কি,ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের নাম কি?ডেঙ্গুর লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা , ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ,ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির উপায়,ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ,ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা,ডেঙ্গু রোগীর খাবার ,

৭। ডেঙ্গু জ্বর হলে কোন ধরনের খাবার খেতে হয়:- যেহেতু এই অসুখে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে যায়,আর এ সময় শরীরে প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে,একজন ডেঙ্গু রোগীর দৈনিক তিন লিটার বা ১২ গ্লাস পানির প্রয়োজন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অরুচির জন্য শরীরে পানির পরিমাণে যথেষ্ঠ ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস যেমন:- আম,মাল্টা,বেদানা বা আনার, আপেল,আনারসের রস দেয়া যেতে পারে।

৮। ডেঙ্গু জ্বর হলে কোন খাবার খাওয়া নিষেধ:- ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার,প্রক্রিয়াজাত খাবার,স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার,মসলাযুক্ত খাবার,আচার,চিনিযুক্ত খাবার, কাঁচা সবজি ইত্যাদি।

৯। ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে:-এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু সেরে যায়। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি থাকে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

১০। ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ:-ডেঙ্গুর উচ্চমাত্রার জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করুন। প্যারাসিটামল ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পরপর জ্বরের মাত্রা বুঝে ব্যবহার করা যাবে। দিনে ৮ থেকে ১০টি ট্যাবলেটের (সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম) বেশি ব্যবহৃত হলে লিভারের ক্ষতিসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

১১। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা:-প্রচুর তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডাবের পানি,লেবুর শরবত,ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন পান করুন একটু পরপর। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।